ছবি: ইন্টারনেট
এবারের বিপিএলে শেষ চারের লড়াই শুরু হচ্ছে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি)। এবারের বিপিএলে খেলার চেয়ে ‘ধুলা’ এত বেশি উড়ছে, মাঠে ভালো পারফরম্যান্সেও হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। মহা বিতর্কিত বিপিএলের মাধ্যমে দেশের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, সেটির দায় স্বীকার করে নিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
পারিশ্রমিক-বিতর্কের রেশ না কাটতেই ফিক্সিং বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। ফিক্সিংয়ের অভিযোগে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম শোনা যাচ্ছে নানা মাধ্যমে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে হঠাৎ বিসিবিতে আসেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তিনি বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক কিছুতে সমন্বয় ঠিকমতো হয়নি। এনএসসিতে (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) একটা সত্যানুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে। তারা খুঁজে বের করবে ভুল কোথায় কোথায় ছিল।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এবারের বিপিএলে আমাদের শেখার ছিল অনেক, ভবিষ্যতে আশা করি আরও ভালো করতে পারব।’
পারিশ্রমিক না দেওয়ায় এবার সবচেয়ে বিতর্কিত হয়েছে দুর্বার রাজশাহী। সমস্যার সমাধানে তাদের স্বত্বাধিকারীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলে জানালেন আসিফ মাহমুদ। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজশাহীর মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে পারিশ্রমিক পরিশোধের কথা বলেছি। তিনি সময়মতো না দিতে পারলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট হয়েছে, আমরা এটাতে এত শ্রম দিলাম, এখানে কারণ সত্যানুসন্ধান কমিটি খুঁজে বের করবে।’
চিটাগং কিংসের স্বত্বাধিকারীর সঙ্গেও কথা বলেছেন আসিফ মাহমুদ। টুর্নামেন্টে পারভেজ ইমনের পারিশ্রমিক নিয়ে তার মন্তব্যের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। আসিফ বলেন, ‘এটা খুবই হতাশার। তাকে সতর্ক করেছি। খেলোয়াড়কে এটা বলার অধিকার তার নেই। তিনি তো খেলোয়াড়কে চুক্তির মাধ্যমে নিয়েছেন। বিসিবিকে বলছি এই ব্যাপারে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে।’
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘রাজশাহী যা করেছে একটা টুর্নামেন্ট শেষ করে দিতে তারাই যথেষ্ট! তবে আজ থেকে পাঁচ মাস আগে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। তখন আমাদের জানানোর দরকার ছিল বিপিএল হবে কি হবে না। ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে, স্বীকার করে নিচ্ছি। তবে এখান থেকে বের হয়ে আসব। আগামী বিপিএলে দেখবেন।’ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ঠিকঠাক যাচাইবাছাই করা হয়নি এবার, সে দায়ও স্বীকার করে নিয়েছেন।
ফারুক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে পরিচ্ছন্ন বিপিএল আয়োজনের, ‘অনেক ইতিবাচক দিক বলতে হবে। আমরা দেখেছি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আয়োজনে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসলে কাদের সঙ্গে। (আরব আমিরাতের) আইএল টিটোয়েন্টির সঙ্গে সূচি সাংঘর্ষিক না করলে অনেক ভালো হবে। বিপিএল আয়োজনে ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়ার চিন্তা আমাদের। বের করেছি কী করতে হবে। ৫ দলের হলেও আমাদের কাউকে খুঁজতে হবে না। উইন্ডো বের করেছি। প্রথম, দ্বিতীয় বছরে হবে না। তৃতীয় বছরেই দেখবেন লাভের মুখ দেখবে। আমাদের সময় দিতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে এবার আয়োজনে কী কী চ্যালেঞ্জ ছিল। ৯০ শতাংশ টিকিট (১০ কোটি টাকার) বিক্রি হয়েছে। মাঠে রান হচ্ছে। ভালো খেলা হচ্ছে। এই ইতিবাচকগুলো আপনারা লিখুন।’