ছবি সংগৃহীত
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কার দেয়া ৫১১ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। চতুর্থ দিন ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১০২ রানে দিন শুরু করে সফরকারীরা। সকালের প্রথম সেশনেই প্রতিপক্ষের এক উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তৃতীয় দিনের হাফ সেঞ্চুরিয়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস হাফ সেঞ্চুরি করে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। নিজেদের চেনা উইকেটেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৮ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ দল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম নিজেদের মাঠ হলেও, সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে সেভাবে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- কোন বিভাগেই ছন্দে নেই বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনে, মধ্যাহ্ন বিরতির আগে হঠাৎই ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। সফরকারী দলের তোপের মুখে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ দল। ওপেনার জাকির হাসান আউট হন হাফ সেঞ্চুরি করে, ব্যক্তিগত ৫৪ রানে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও উইকেটে বেশি সময় টিকতে পারেননি। দ্রুত আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলে আসেন। আর নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ২২ রান করে আউট হন। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসরা ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ দল বিপর্যয়ে পড়ে। মুমিনুল হক একাই লড়াই করার চেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে কেউ সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেনি। তাতে মাত্র ১৭৮ রানে প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
স্বাগতিকদের ফলোঅনের লজ্জায় না ফেলে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ দল। হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সফরকারীদের একের পর এক ব্যাটসম্যান বিদায় নিতে থাকেন। দলের ৮৯ রানের মধ্যেই হারায় ৬ উইকেট। দু’জন ছাড়া বাকিদের কেউই দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০২ রান। বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ ৪ ও খালেদ আহমেদ ২ উইকেট পান।