ছবি সংগৃহীত
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেখার যে প্রত্যাশার কথা বলেছেন, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
তবে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কার্যকর কোনো সংস্কার বা নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে ইতোমধ্যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে যুগান্তর অনলাইন, বিডিনিউজ ও বাংলানিউজ।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পরে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান তিনি।
এরপর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের অনুরোধে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছে। যারা আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে।
তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা এখনও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানায়নি। এ বিষয়ে উপদেষ্টারা বলছেন, ‘ফ্যাসিস্ট’ আওয়ামী লীগের ক্ষত সারিয়ে দেশকে সঠিক পথে নিতে আগে সংস্কার জরুরি, তারপর নির্বাচন।
এদিকে, সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্রে উত্তরণ’ ঘটা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তবে ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন’ তিনি ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবেন।
সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎকারের পরের দিন মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ রয়টার্সকে বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে আমরা একটা সময়সীমা পেয়েছি, এতে আমি খুশি।
তিনি বলেন, তবে আমরা এই নাটকটি আগেও দেখেছি যেখানে একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তারপরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, সবচেয়ে সাম্প্রতিক ২০০৭ সালে যখন সেনাবাহিনী একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেছিল যেটি দুই বছর ধরে দেশ শাসন করেছিল।
হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলে যায়। সে সময় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সেনা প্রধান বলেন, তিনি প্রতি সপ্তাহে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সাথে দেখা করেন। সামরিক বাহিনী দেশের স্থিতিশীলতার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।