ছবি: ইন্টারনেট
পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার খালগুলোতে আমাদেরকে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। খালগুলো হবে প্রাণকেন্দ্র। খালের আশেপাশের বাসা বাড়ির বর্জ্যগুলো পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। একটা বিহীত করতে হবে যাতে খালে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে।
আর এজন্য স্থানীয়দেরকে দিয়ে আমরা একটা কমিটি করে দেব, দুই কিলোমিটার পর পর একটা কমিটি থাকবে, তারা এটি মনিটর করবে।
আজ রবিবার রাজধানীর বাউনিয়ায় ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসির আওতাধীন ০৬ টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করে খাল কেন্দ্রিক ব্লু নেটওয়ার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, আশা করি আমরা এই বর্ষার আগে আপাতত ছয়টা খাল দখল ও দূষণমুক্ত করতে সক্ষম হব। এবং খুব শীঘ্রই আমরা আরও চারটা খাল দখল ও দূষণমুক্তকরণের কাজ শুরু করব।
এই বর্ষার আগে বাকি আরও ৯টির কাজ শুরু হবে। অর্থাৎ এ বছরের মধ্যেই ১৯ টি খালের দখল ও দূষণমুক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আমরা হয়তো এই ১৯টি খাল কেন্দ্রিক মাস্টারপ্ল্যান করে ফেলব। কোথায় কোথায় আমাদেরকে একদম সুনির্দিষ্ট আরও কিছু কাজ করতে হবে সেটা ঠিক করে আগামী বাজেটকে সামনে রেখে আমরা কাজগুলো ঠিক করে সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা অর্থের সংস্থান করতে পারব বলে আশা করি।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে, খালের যে পাড়টা আছে ওই পাড়ে আমরা চাষাবাদ করতে পারি কিনা। আমরা চাচ্ছি খালের পাড়গুলোতে আমরা সবুজ ফিরিয়ে আনতে পারি কিনা, আর খালের মধ্যে মাছ আনা যায় কিনা। সেটা আমরা কেমন করে ফিরিয়ে আনব, কেমন করে আমরা খালের প্রাণ ফিরিয়ে দেব সেই চেষ্টাটা আমরা করব।
তিনি বলেন, এটা আমাদের মন্ত্রণালয় কেন্দ্রিক উদ্যোগ হলেও নগরবাসীকে এ কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, নগরবাসীকে তার খালগুলোকে রক্ষার দাবি তুলতে হবে এবং সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
আপনাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে, অধিকারের জায়গা থেকে অধিকারের চর্চাও করতে হবে, দায়িত্বের জায়গা থেকে দায়িত্বও পালন করতে হবে আপনাদেরকে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন খাল পুনরুদ্ধার করতে যাব, আমাদেরকে খালের কিছু কিছু অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে হবে, আমরা জানি তখন হয়তো কিছু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে কিন্তু আমরা সম্মিলিতভাবে সে বাধা মোকাবেলা করব। খালে যেন পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারি এটা আমাদের প্রাথমিক টার্গেট।
উল্লেখ্য, আজ দখল ও দূষণমুক্ত কার্যক্রমের জন্য উদ্বোধন হওয়া এ ছয়টি খাল হচ্ছে- বাউনিয়া খাল, রুপনগর খাল, বেগুনবাড়ি খাল, মান্ডা খাল, কালুনগর খাল, কড়াইল লেক। এ ছয়টি খালের মোট দৈর্ঘ্য ২৩.৬৬ কিলোমিটার।