ছবি সংগৃহীত
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উত্তরার মহিলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ছেলে মাহী বি. চৌধুরী তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় গত ২ অক্টোবর সকালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মেয়ে চিকিৎসক শায়লা চৌধুরী জানান, আগে থেকেই তাঁর বাবার ‘ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ’ ছিল।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে রাজনীতিবিদ মাহী বি চৌধুরী বলেন, আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল নয়টার দিকে হাসপাতালে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বারিধারায় বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসভবনে তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে আরেকটি জানাজা হবে। আগামীকাল রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে আরেকটি জানাজা হবে। এরপরে গ্রামের বাড়িতে আরেকটি জানাজার পর তাঁকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত ‘মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন।
১৯৭৯ সালে বদরুদ্দোজা চৌধুরী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া—দুই সরকারের সময়ই মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপালন করেছিলেন। বিটিভিতে তাঁর ‘আপনার ডাক্তার’ অনুষ্ঠান ছিল খুবই জনপ্রিয় ছিল।
মুন্সিগঞ্জ–১ আসন থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরী পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দুবার জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং একবার বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।