শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, কার্তিক ৩ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

কোটা আন্দোলন

মামলা প্রত্যাহারে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 

জাতীয় ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ১৪ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১৬:৫১, ১৪ জুলাই ২০২৪

মামলা প্রত্যাহারে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 

ছবি: ইন্টারনেট

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত সড়ক অবরোধ করছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত সড়ক অবরোধ করছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি

২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। রোববার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া শেষে এ ঘোষণা দেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে কোন আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জরুরি সংসদ অধিবেশন বসানোর দাবিও জানান তারা।

এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন—আসিফ, নাহিদ, সারজিস, মেহেরুন্নেসা নিদ্রা, আরিফ সোহেল, সুমাইয়া, আশিক, কাদের, মাহিন, হাসিব, মাসুদ ও সিফাত।

স্মারকলিপি জমা দিতে দুপুর ১২টার পর বঙ্গভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। জিরো পয়েন্টে তাঁরা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলস্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা নবম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করা করে। ফলে সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ১০ শতাংশ জেলা কোটা বাতিল হয়ে যায়।

পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি শেষে গত ৫ জুন সরকারের জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এতে সরকারি চাকরিতে আবারও কোটা ফিরে আসে।

বিষয়টি আপিলে গেলে গত ৯ জুন হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বিষয়টি আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। ৪ জুলাই আপিল বেঞ্চ জানায়, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মামলাটির শুনানি শুরু হবে। গত ১১ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থগিতাদেশ দেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, ঝুলন্ত কোনো সিদ্ধান্ত তাঁরা মানবেন না।

এরমধ্যে ১১ জুলাই শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। একইসঙ্গে জনদুর্ভোগ তৈরি হলে আন্দোলনকারীদের বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিতও দেন তিনি। পুলিশের তরফ থেকে সড়ক অবরোধ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়