শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৭ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

ই-পাসপোর্ট গেট বসছে ঢাকা বিমানবন্দরে

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ২৪ জুন ২০১৯

আপডেট: ০৭:২৪, ২৪ জুন ২০১৯

ই-পাসপোর্ট গেট বসছে ঢাকা বিমানবন্দরে

আসছে জুলাইয়ে পৃথিবীর ১২০তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্টের জগতে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। নাগরিকদের ই-পাসপোর্টের সুফল দিতে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি ই-পাসপোর্ট গেট বসানো হয়েছে। এটি চালু হলে সহজ হবে দেশের প্রধান এ বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হতে গেলে ৫-৭ মিনিট  সময় লাগে বিদেশ গমনকারী ব্যক্তি কিংবা দেশে আগমনকারীদের। কিন্তু ই-পাসপোর্ট থাকলে কয়েক সেকেন্ডেই পার হতে পারবে যাত্রীরা। এমনকি আগের মতো যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে না। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, ই-গেট এমন একটি প্রযুক্তি, যা দ্রুততম সময়ে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। ই-গেটে গমন বা আগমনকারী ব্যক্তির পাসপোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিডার ও ক্যামেরার সাহায্যে চিপযুক্ত পাসপোর্ট যাচাই, ফিঙ্গার প্রিন্ট ও রিকগনিশনের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। ভেরিফিকেশনে ব্যক্তির তথ্য সঠিক থাকলে ই-পাসপোর্ট গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, কোনো ভুয়া পাসপোর্টধারী ইমিগ্রেশন পার হওয়ার চেষ্টা করলেই  ধরা পড়ে যাবে ই-গেটে। ফলে কোনো অপরাধী পরিচয় গোপন করে ই-গেট অতিক্রম করতে পারবে না। পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী জুলাই থেকে নাগরিকদের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবা সুরক্ষা বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫০টি ই-গেট স্থাপন করা হবে। জানা যায়, জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব ই-গেট আনা হচ্ছে। প্রথম দফায় ঈদুল ফিতরের আগে কয়েকটি ই-গেট দেশে আসে। ঈদের পর গেট তিনটি স্থাপন করা হয় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমেই দেশের তিনটি বিমানবন্দর ও দু’টি স্থলবন্দরে সেগুলো বসানোর কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে পর্যায়ক্রমে অন্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরেও ই-গেট স্থাপন করা হবে বলে জানা যায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানান, ই-পাসপোর্ট ই-গেটের একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখার সঙ্গে সঙ্গে বাহকের পরিচয় নিশ্চিত করবে। ভ্রমণকারী নির্দিষ্ট নিয়মে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইসহ সব ঠিকঠাক থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ভ্রমণকারী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবে। তবে ভুল কিংবা অন্য কারণে লাল বাতি জ্বলে উঠলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবে। ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান  বলেন, আগামী পহেলা জুলাই থেকে নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া শুরু হবে৷ ই-পাসপোর্টের সুফল দিতেই আমরা পরীক্ষামূলকভাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি গেট স্থাপন করেছি। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হবে।
শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়