বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, চৈত্র ৫ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

হাইকোর্টে জামিন চাইলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নি

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ৩০ মে ২০২২

আপডেট: ১০:৪৮, ৩০ মে ২০২২

হাইকোর্টে জামিন চাইলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নি

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিন্নিঃ ছবি সংগৃহীত

বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার (৩০ মে) মিন্নির জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সুত্রে জানা যায়, আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করলে দুটি আপিল ও মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের বিষয়ে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হবে।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি খালাস চেয়ে আপিল করেন।

তবে নিজের স্বামীকে খুনের পরিকল্পনার দায়ে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে ফাঁসির আদেশ দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়। এরপর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মিন্নিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

গত ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া গ্যাং ‘বন্ড বাহিনী’। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মামলার এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর একই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় মামলার সাক্ষী হয়ে যায় আসামী আর ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো হয়।পরে একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে মিন্নি জামিন পান। সেবছরই ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরমধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে অভিযুক্ত করা হয়।

একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। ৬ অক্টোবর আসামিরা আপিল করে।  ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন মিন্নি। পরে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জরিমানাও স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৪), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২০), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৩), মো. হাসান (২০) এবং আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (২০)।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়