ছবি সংগৃহীত
মিয়ানমার উপকূলে খারাপ আবহাওয়ার কারণে নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ অন্তত ১৭ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরো অন্তত অর্ধশত জন নিখোঁজ রয়েছেন।খবর আল জাজিরা।
খবরে জানানো হয়, নৌকাটি অন্তত ৯০ আরোহী নিয়ে বঙ্গোপসাগর পার হয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে ডুবে যায়। কিছু মৃতদেহ মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের সমুদ্র সৈকতে ভেসে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন আরোহী নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রায় ৫ বছর আগে নৃশংস সামরিক দমন-পীড়নের পর লক্ষাধিক রোহিঙ্গা, বেশিরভাগ মুসলিম সংখ্যালঘু, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে গেলেও অনেকে রাখাইনে রয়ে গেছেন। সেখানে তাদের বেশিরভাগের চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে; শরণার্থী শিবিরে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
নৌকাটি গত ১৯ মে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়ে ছাড়ে। কিন্তু কয়েক দিন পরই এটি খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, তারা এ মৃত্যুর ঘটনায় ‘মর্মাহত ও দুঃখিত’। মিয়ানমারের কাছ থেকে তারা এ বিষয়ে আরো তথ্য চেয়েছেন।
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, রাখাইনের দক্ষিণে শোয়ে থাউং ইয়ানের কাছে থাপ্যায় হামাও দ্বীপের প্রায় ৫ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে নৌকাটি ডুবে যায়।
রোহিঙ্গাদের জন্য একটি অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করে মেজর জেনারেল জাও মিন তুন আরএফএকে বলেন, একটি অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল এবং ১৪ বাঙালিকে (রোহিঙ্গাদের বার্মিজরা বাঙালি বলে) মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাকিদের যথারীতি বিতাড়িত করা হবে। বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা দলটিকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
সামুদ্রিক পারাপার সম্পর্কে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে ইউএনএইচসিআর বলেছে, ২০২০ সাল বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক বছর ছিল।
আলোআভা/ শেখ ফরিদ