বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫, মাঘ ৯ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল সহ থাকছে যেসব ইস্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৫:০৬, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল সহ থাকছে যেসব ইস্যু

ছবি: ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন এই আদেশ আদালত পর্যন্ত গড়াবে।

ট্রাম্প তাঁর অভিষেক শেষে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় ২০,০০০ সমর্থকের সামনে বসে এক রাশ নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন। পরবর্তীতে তিনি হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে বসে আদেশে সাক্ষর করেন।

প্রথমেই তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জারী করা ৭৮টি আদেশ স্থগিত করেন। বাইডেন তাঁর মেয়াদের শেষ দিকে এই আদেশগুলো জারী করেছিলেন, যেগুলোর বেশ কয়েকটি বাস্তবায়ন হয় নি।

এক আদেশের মাধ্যমে ট্রাম দেশের দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে "জাতীয় জরুরী অবস্থা" ঘোষণা করেন।

অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশে ট্রাম্প শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচী স্থগিত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া মানুষের আমেরিকান নাগরিকত্ব অধিকার বন্ধ করেন।

আদেশে সাক্ষর করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তাঁর এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি বলেন জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব "একেবারে হাস্যকর" এবং তাঁর বিশ্বাস এই বিধান বদলানোর জন্য "ভাল আইনগত যুক্তি" আছে।

তিনি মাদক চক্রগুলোকে বিদেশী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেন।

ক্যাপিটল দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা

তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ কংগ্রেসের কার্যালয় ক্যাপিটল ভবনে হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দণ্ডিত ১,৫০০ লোককে ক্ষমা করে আদেশ দেন। আদেশে ছয় জনের সাজা কমানো হয়েছে তবে সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

“এরা হচ্ছে জিম্মি – প্রায় ১,৫০০ জন – তাদের জন্য ক্ষমা, পূর্ণ ক্ষমা,” ট্রাম্প আদেশ সাক্ষর সময় সাংবাদিকদের বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু করার আদেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। পাঁচ বছর আগেও তিনি হু থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করার চেষ্টা করেন।

এক আদেশের মাধ্যমে তিনি জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস ক্লাইমেট চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন।

এক আদেশে বাক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে স্বাধীন মতের সেন্সরশিপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এক আদেশে তিনি সামাজিক মাধ্যম প্লাটফর্ম টিকটক-এর কার্যক্রম আরও ৯০ দিন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক আইনের অধীনে টিকটক-এর মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্সকে গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি)-এর মধ্যে অ্যাপটির যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম বিক্রি করার কথা - অন্যথায় টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে।

ট্রাম্পের আদেশের ফলে টিকটক-এর জন্য ক্রেতা খোঁজার সময় বাড়লো। তবে বাইটড্যান্স বার বার বলেছে তারা টিকটক বিক্রি করবে না।

ট্রাম্প এক আদেশে আমলাদের নতুন কোন নিয়মাবলী জারী করা নিষিদ্ধ করেন। ট্রাম্প প্রশাসন সরকারী কার্যক্রমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না নেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

নির্বাচনের সময় ট্রাম্প সরকারের আয়তন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এক নির্বাহী আদেশে তিনি ফেডেরাল সরকারে সকল বিভাগে নতুন নিয়োগ নিষিদ্ধ করেছেন। শুধু সামরিক বাহিনী এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এজেন্সি ব্যতিক্রম হবে।

ফেডেরাল সরকারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সপ্তাহে পাঁচদিন অফিসে এসে কাজ করার আদেশ দেয়া হয়েছে। কোভিড মহামারির সময় থেকে অনেক দফতরে সপ্তাহে তিন বা চার দিন বাসা থেকে কাজ করার প্রথা চালু ছিল।

সুত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়