ছবি সংগৃহীত
ত্রিপুরাসহ উত্তর–পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতি ও খোয়াই জেলায় প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ১০ জনের। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ।
সোমবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া বিষয়ক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। সবচেয়ে নাজুক বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা খোয়াই জেলায় জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। আরও কয়েকদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।
হাওড়া, ধলাই, মুহুরি ও খোয়াই নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপরে। গোমতী জেলায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে ওই অঞ্চলের সাথে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। আগরতলার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
বুধবার সকালে ত্রিপুরায় অবস্থিত ডম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ ফেটে যাওয়ার হুমকি তৈরি হওয়ায় তিনটি স্ল্যাপ গেটের একটি খুলে দেওয়া হয়। পানির ঢলে তলিয়ে যায় উত্তর ত্রিপুরাসহ অন্তত ৮টি জেলা। ভূমিধসে আশঙ্কা থাকায় ধস প্রবণ এলাকাগুলো থেকে সরে থাকতে সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ১৯৯৩ সালের পর এই প্রথম ডম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলেছে ভারত।