ছবি: ইন্টারনেট
বর্তমানে দেশে আর্সেনিক রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯১০ জন বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, ২০১২ সালের সর্বশেষ খানা তল্লাশি হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য তৈরি করা হয়েছে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার ফলে জনগণের মাঝে সচেতনা সৃষ্টি হয়েছে। যাতে মানুষ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি পান করছেন, ফলে বর্তমানে আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগী কমে গেছে। তবে বর্তমানে সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা হতে প্রাপ্ত তথ্যমতে, আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭৭৬ জন এবং মারা গেছে ৭৯ জন।
আর্সেনিক রোগীর চিকিৎসায় সরকার আন্তরিক বলে দাবি করে মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘তাদের চিকিৎসার জন্য সরকার দেশের সব সরকারি হাসপাতালে মাল্টিভিটামিন জাতীয় ওষুধ, ভিটামিন এ ক্যাপসুল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, স্যালিসাইলেট ক্রিম বিতরণসহ অন্যান্য সুলভ চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ করে যাচ্ছে।’
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভিটামিন ডি লেভেল পরীক্ষার জন্য জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরিতে একটি আধুনিক ভিটামিন-ডি পরিমাপক এনালাইজার কোভিডকালীন সময়ে স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভিটামিন-ডি পরীক্ষা করা হয়। কোভিড পরবর্তী পুষ্টি পরিস্থিতি এবং জনগণকে উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সমীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।’
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সেনাবাহিনী পরিচালিত ৫টিসহ দেশে বর্তমানে ৭৬টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় ৫টি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং একটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। স্থগিতকৃত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলো হলো- নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজ, আশুলিয়া, ঢাকা। নর্দান ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, আইচি মেডিক্যাল কলেজ উত্তরা, ঢাকা। নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ, রংপুর এবং শাহ মাখদুম মেডিক্যাল কলেজ, রাজশাহী।