
ছবি: ইন্টারনেট
আজ বিশ্ব গাধা দিবস, প্রাণীটিকে ভালোবাসার দিন। বিশ্ব গাধা দিবসের প্রচলন করেছিলেন আর্ক রাজিক। তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। এদিকে, জাতীয় চিড়িয়াখানায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে গাধার সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে ভারসাম্য আনতে অতিরিক্ত গাধাগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ধারণক্ষমতা অনুযায়ী চিড়িয়াখানায় গাধা রাখার সক্ষমতা ৬টি। তবে সেখানে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি; ১৩টি।
যার কল্যাণে আজ গাধাকে ভালোবাসার দিন। সেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এ জন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন।
আর্ক রাজিকের প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে প্রথম বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপন করা হয়। তখন থেকে প্রতি বছর ৮ মে গাধা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো গাধাকে নিয়ে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রাণীটি কীভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে তা তুলে ধরা।
গাধার সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। এরপরও দেশটি গাধা আমদানি করে। সংখ্যার দিক থেকে পাকিস্তান বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
আধুনিক সময়ে এসে যে গাধাগুলো দেখা যায়,এগুলো এসেছে সোমালি বন্য গাধা এবং নুবিয়ান বন্য গাধা থেকে। উভয়ই আফ্রিকান বন্য গাধার উপ-প্রজাতি। কয়েক শ বছর ধরে মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে এই প্রাণীটি।
গাধা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উদ্দেশে ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ বা বাষ্পশক্তি উদ্ভাবনের আগে সমাজের উন্নয়নে গাধা দ্বারা উৎপাদিত শক্তি ব্যবহার হতো নানা ক্ষেত্রে। বহু পথ অতিক্রম করতে পারে গাধা। ঘণ্টায় ৩১ মাইল যেতে পারে একটি গাধা। গাধা বাঁচে গড়ে ৫০ থেকে ৫৪ বছর।
বলা হয়ে থাকে, একবার কোনো পথ দিয়ে গেলে সেই পথের কথা মনে থাকে গাধার। পথ চিনতে পারে এই প্রাণীটি। গাধা সাধারণত সতর্ক থাকে এবং এমন পরিস্থিতিতে ভয় পায় যা তারা বিপদজনক বলে মনে করে।
পরিষ্কার থাকতে পছন্দ করে গাধা। নিজেরা দেখতে কেমন, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয় এই প্রাণীটি। প্রাণীটি উষ্ণ ও শুষ্ক পরিবেশ যেমন মরুভূমির মতো জায়গা পছন্দ করে। যখন একটি গাধার সঙ্গীকে তার কাছ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়, তখন প্রাণীটি কষ্ট পায়।
বিশ্বে ১৮৬ বা এর চেয়ে বেশি ধরনের গাধা আছে। এ প্রাণীটির শ্রবণশক্তি এতই বেশি যে, অনেক দূর থেকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে সহজেই।