রয়্যাল ক্যাফের স্টলে কফিপ্রেমীদের একাংশ
অষ্টম দিনে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। এবারের বই মেলায় আসা বইপ্রেমীদের কাছে প্রথমবারের মত ‘রয়্যাল ক্যাফে’ নিজেদের স্টল সাজিয়ে নজর কেড়েছেন।
ফুড কোর্টের সারি সারি খাবারের দোকানের ভিড়েও বিশেষ ভাবে চোখে পড়ছে দেশীয় জনপ্রিয় কফি ব্র্যান্ড রয়্যাল ক্যাফের স্টল।
কেউ আসছে কফির নান্দনিক ডিজাইনের প্যাকেটের আদ্যপ্রান্ত জানতে, কেউ বা আসছেন কফির স্বাদ নিতে। কেউ কেউ আবার জানতে চাইছেন, কফির ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ প্রসঙ্গে।
রয়্যাল ক্যাফের বিক্রয় প্রতিনিধি শারমিন আক্তারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, সবাই আমাদের কফি’র খুব প্রশংসা করছে। আমাদের কফির ভিন্নতা থাকার ফলে কফিপ্রেমীরাও পছন্দমত কফির স্বাদ গ্রহণ করতে পারছে। আশাকরছি বন্ধের দিন গুলোতে ব্যস্ততা আরও অনেক বাড়বে।
সন্ধ্যায় কথা হয় মেলায় আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রান্ত রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে রয়্যাল ক্যাফের স্টলটি দূর থেকে দেখেই বেশ নান্দনিক লেগেছে। তাই কৌতূহল থেকে এসে কফি পাণ করলাম। বেশ দারুণ।
এদিকে প্রয়াস গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সাহিদ আহমেদ তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ক্যাফে’র প্রথমবার বই মেলায় কফি স্টল প্রসঙ্গে বলেন, আমরা দেশীয় কফি উৎপাদক হিসেবে আইএসও সার্টিফাইড কোম্পানি। এমনকি বিএসটিআই অনুমোদিত। আমরা আমাদের পণ্যের গুণগত মানের দিকে বিন্দুপরিমান ছাড় দেইনা। বই মেলায় বইপ্রেমীদের সারাদিনের ব্যস্ততাকে স্বস্তিতে পরিণত করতেই এবারের বইমেলায় আমাদের অংশগ্রহণ। আশাকরছি, বইমেলায় রয়্যাল ক্যাফের কফির স্বাদ সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে পারব।
উল্লেখ্যঃ মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদের স্মৃতিতে এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বইয়ের এ উৎসবে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট আয়তনের মাঠে ৬৩৫ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠান ১৭৩ ইউনিট এবং সোহরওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। গত বছরের মতো রমনা কালী মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে শিশুচত্বর। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। এছাড়াও নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থাপন করা হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এর পাশাপাশি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার।