ক্লাউড বিপিও অ্যান্ড তাজ অ্যাকাউন্ট্যান্টস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হায়াত নুরুজ্জামান
সম্প্রতি ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন ক্লাউড বিপিও অ্যান্ড তাজ অ্যাকাউন্ট্যান্টস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হায়াত নুরুজ্জামান।
ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই ইউকে) মহাপরিচালক আবুল হায়াত নুরুজ্জামান সেখানে ‘মোস্ট ইনফ্লুয়েনটিয়াল ক্লাউড একাউনটেন্ট এন্ড ট্রেনার অব দ্য ইয়ার’ অর্জন করেন। এই স্বীকৃতি তার সফল উদ্যোগ এবং শিল্পে ক্লাউড বুককিপিং অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের ফলে আসে।
দুবাইতে গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশী উদ্যোক্তা ব্যাবসায়ীদের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্বকে ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওর্য়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা পরস্পর ব্যবসায়ীক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ লাভ করে এবং এতে করে উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের বিজনেস সংযোগ স্থাপন দ্রুত সম্ভব হবে।
নতুন প্রজন্মের দক্ষ পেশাজীবী তৈরির প্রত্যয় নিয়ে দুবাইতে শেষ হয়েছে ‘গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স- ২০২৩। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ম্যাগাজিন বিজনেস আমেরিকা যৌথভাবে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে। দুবাইয়ের বিখ্যাত হোটেল মিলেনিয়াম প্লাজা ডাউন টাউনে গত ২২-২৪ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় এই কনফারেন্স। অনুষ্ঠানে ২৫টি দেশের প্রায় ৫০০ বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, তাদের কর্ণধার ও প্রফেশনালসরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি Intuit Quickbooks Accountant Council এর সদস্য। AI এর প্রতি গভীর আগ্রহ এবং অ্যাকাউন্টিং শিল্পের সুবিদা নিয়ে আবুল হায়াত নুরুজ্জামান একটি নতুন প্রজন্মের ক্লাউড অ্যাকাউন্ট্যান্ট তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নের সাথে সারিবদ্ধ। তিনি বিশ্বাস করেন যে দেশে উচ্চ শিক্ষিত স্নাতকদের একটি বিশাল জনশক্তি রয়েছে তারা বিশ্বব্যাপী কর্মশক্তিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।
তিনি তার গ্রহণযোগ্য বক্তব্যে অ্যাকাউন্টিং এবং ফিনান্সে যারা বিশেষ করে ক্লাউড বুককিপিংয়ে আগ্রহী তরুণ প্রজন্মকে গাইড করার জন্য তার ক্লাউড বুককিপিং সম্পর্কে বলেন, তার স্বপ্ন হল; তাদের দক্ষ ক্লাউড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে সাহায্য করা যারা ইউরোপ, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়াতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
এছাড়াও তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্পে অবদান রাখতে সারা বিশ্বের পেশাদার ও বিশেষজ্ঞদের উৎসাহিত করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ এবং উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে এবং যুবকদের জন্য একটি সমৃদ্ধ কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
২০২৩ সালের বেস্ট ইনফ্লুয়েনটিয়াল ক্লাউড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং অ্যাকাউন্টিং প্রশিক্ষক হিসাবে আবুল হায়াত নুরুজ্জামানের স্বীকৃতি এই ক্ষেত্রে তার উদ্ভাবন এবং নেতৃত্বকে তুলে ধরে। তিনি বলেন এই কনফারেন্সে থাকতে পেরে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি, যেখানে তিনি তার অনন্য ধারণা শেয়ার করেছেন, যা সারা বিশ্বের তরুণ উদ্যোক্তাদের কাছে অনুপ্রাণিত করে।
আবুল হায়াত নুরুজ্জামান তার আসন্ন প্রশিক্ষণ ব্যাচ শুরুর ঘোষণাও দিয়েছেন, যা ২০২৪ সালে মার্চের ১ তারিখে শুরু হবে। কোর্সের ব্যাপক জনপ্রিয়তার আলোকে, তিনি উচ্চাকাক্সক্ষী শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের বিশদ বিবরণের জন্য ওয়েবসাইটে নজর রাখার পরামর্শ দেন।