ছবি: সংগ্রহীত
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় সুরমা ও কুশিয়ারার পানি ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৩৫ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৮, শেওলা পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার এবং শেরপুরে ২০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সারা দিন এভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত সিলেটে ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। ১৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৮ হাজার ৩৫১ জন মানুষ।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা আগে থেকেই করা হচ্ছিল। পরিস্থিতির জন্য সতর্কও করা হচ্ছিল। সতর্কতার সঙ্গে আমাদের এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। গত ১৭ জুন থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিতে ফের জেলায় বন্যা হয়। এ বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে গত ১ জুলাই থেকে তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয় সিলেটে।
এনপি/আর