ছবি: ইন্টারনেট
পদ্মাসেতু হয়ে চারটিসহ ঢাকায় পাঁচটি ট্রেন যাতায়াতের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে যশোরবাসী। রোববার (২ জুন) বেলা ১১টায় দাবি আদায়ের লক্ষে যশোর রেলওয়ে জংশনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পরে রেললাইন অবরোধের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। সমাবেশ শেষে দাবি আদায়ের লক্ষে স্টেশন মাস্টার ও যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। যশোর রেলওয়ে জংশনে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির এই কর্মসূচিতে পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বপ্নের পদ্মাসেতু রেলপ্রকল্পে যশোরবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এতদিন যশোর থেকে তিনটি ট্রেন চিত্রা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকায় যাতায়াত করতো। কিন্তু পদ্মাসেতু রেলপ্রকল্পের মাধ্যমে যশোরের জন্য মাত্র একটি ট্রেন রাখা হয়েছে। খুলনা-ঢাকার ট্রেন যশোরের সীমান্তবর্তী পদ্মবিলা জংশন হয়ে ঢাকায় যাবে। পদ্মবিলায় গিয়ে যশোরবাসীর পক্ষে এই ট্রেনে যাতায়াত বাস্তবতা বিবর্জিত। পাশাপাশি কোটচাঁদপুর সাফদালপুর এবং মোবারকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাওয়ার কোনো ট্রেনই থাকছে না। এই সমস্ত সমস্যা চিহ্নিত করে আমরা রেল যোগাযোগ উন্নয়নের স্বার্থে ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেছে সংগ্রাম কমিটি।
দাবিগুলো হলো, বেনাপোল থেকে ঢাকায় দুটি ট্রেন, দর্শনা থেকে যশোর হয়ে ঢাকার দুটি ট্রেন ও খুলনা থেকে যশোর ঈশ্বরদী যমুনা সেতু হয়ে অন্তত একটি ট্রেন বহাল রাখতে হবে। ঢাকায় অফিস ধরার মতো সময়ে যশোর জংশন থেকে ট্রেন দিতে হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সুলভ বগি এবং ফুল, মাছ ও সবজিবাহী বগি (ভেন্ডার) যোগ করতে হবে। ট্রেনের ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নামাতে হবে। নিবন্ধনের বাইরেও টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সিনিয়র সিটিজেনদের টিকিট প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার হবে। জরুরি ভিত্তিতে দর্শনা থেকে খুলনা পর্যন্ত ডাবল লাইন স্থাপন করতে হবে।
বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক কৃতি খেলোয়াড় কওসার আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিনের সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুণ অর রশিদ, শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মজনু, যশোর কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক হোসেন সিম্বা, সংগ্রাম কমিটির নেতা আমিনুর রহমান হিরু, ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, জিল্লুর রহমান ভিটু, ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে যশোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান ও যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আবরাউল হাছান মজুমদারের মাধ্যমে রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দু’জনেই স্মারকলিপি গ্রহণ করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।