
ছবি সংগৃহীত
যশোরে ৩টি প্রাইভেটকার থেকে ১৩৫ পিস স্বর্ণের বারসহ ৬ জনকে আটক করেছে যশোর বিজিবি। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ১৫ কেজি ৮০০ প্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৩ কোটি টাকা ৫৮ লাখ ৮০ হাজার।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ৩টি প্রাইভেটকার থামিয়ে তল্লাশি করে এই স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোরস্থ বিজিবির ৪৯ অধিনায়ক ব্যাটালিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী।
তিনি জানান, তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ৩টি প্রাইভেটকারযোগে স্বর্ণেল চালান বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে যাবে। এরপর বিজিবির একটি টিম যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুর একটার দিকে ওই তিনটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে বিজিবি সদস্যরা। এরপর প্রাইভেটকার ৩টি তল্লাশি করে মোট ১৩৫ পিস স্বর্ণেরবার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া প্রাইভেটকারে চালকসহ ৬ জনকে আটক করা হয়।
বিজিবির অধিনায়ক আরো জানান, স্বর্ণের বারগুলো প্রাইভেটকারের সম্মুখভাগে অভিনব কায়দায় প্রস্তুতকৃত বিশেষ বক্সে বহন করা হচ্ছিল। স্বর্ণের বারগুলো সীমান্ত এলাকায় পৌঁছে দিয়ে ডলার নিয়ে ফেরত যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
আটককৃতরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, পুটখালী গ্রামের আতিউর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন, চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার ঢাকুরিয়া গ্রামের রশিদ মিয়াজীর ছেলে আরিফ মিয়াজী, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা নৈয়ার গ্রামের সিরাজুল ব্যাপারীর ছেলে শাহাজালাল, মাদারীপুর সদর উপজেলার বলশা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আবু হায়াত জনি ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিঝমিঝি পূর্ব পাড়াা অলিউল্লাহ ব্যাপারীর ছেলে রবিউল আলম রাব্বি।
উদ্ধার হওয়া সোনা যশোরের বেনাপোলের পুটখালী এলাকার নাছিরের বলে একটি সূত্র থেকে বলা হচ্ছে। নাছির বেনাপোলের আলোচিত সোনা পাচারকারী দলের মধ্যে অন্যতম বলে জানা গেছে।
আলোআভা/ শেখ ফরিদ