শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

বেতন পাচ্ছেন পাটকল শ্রমিক

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

আপডেট: ০৩:৪৬, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

বেতন পাচ্ছেন পাটকল শ্রমিক

জাতীয় নির্বাচনের আগেই বকেয়া বেতন-ভাতা পাচ্ছেন ৭৫ হাজার পাটকল শ্রমিক-কর্মচারী। নির্বাচনের আগে এ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য একশ’ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে পাওনা পরিশোধের জন্য অর্থ দেয়া হবে অনুন্নয়ন ঋণের মাধ্যমে। আর অনুন্নয়ন ঋণের টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে চলতি বাজেটের অপ্রত্যাশিত খাত থেকে। কারণ উল্লিখিত বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বাজেটে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। জানা গেছে, বিজেএমসির আওতায় কর্মরত আছেন ৭৫ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা। এর মধ্যে শ্রমিকের সংখ্যা হচ্ছে ৭০ হাজার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ৫ হাজার ৫শ’ জন। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার বকেয়া বেতনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি ৩০৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ৭১ কোটি ৪ লাখ টাকা। সূত্র মতে, বিজেএমসির বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে অর্থ বিভাগ থেকে একটি সার সংক্ষেপ সম্প্রতি পাঠানো হয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে। প্রস্তাবে বলা হয়, বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিজেএমসিকে জমি হস্তান্তর মূল্য বাবদ ২শ’ কোটি টাকা এবং শ্রমিকদের মজুরি ও বেতন বাবদ আরও ২শ’ কোটি টাকাসহ মোট ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। জানা গেছে, শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার অর্থ চেয়ে এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বিজেএমসি। সেখানে বলা হয়, বিজেএমসি নিয়ন্ত্রণাধীন পাট দ্রব্যের বিক্রয়যোগ্য মজুদ পাট পণ্যের পরিমাণ ৬৫ হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন। এর বাজারমূল্য ৫৫১ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে পাটজাত পণ্যের মৌসুম না। ফলে বহির্বিশ্ব থেকে পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ না পাওয়ায় বাংলাদেশের বিক্রি অনেক কমেছে। আর্থিক সংকটের ফলে শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মজুরি পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে মিলগুলোতে শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩৮১ কোটি টাকা বকেয়া বেতন-ভাতার পরিমাণ দাঁড়াবে। জানা গেছে, বিজেএমসির আওতায় ৩টি নন জুট প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৬টি মিল রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে ৭টি, চট্টগ্রামে ১০টি, খুলনায় ৯টি রয়েছে। পাট উৎপাদিত অঞ্চলের ১৮২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে পাট কেনা হয়েছে।
শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়