বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৩ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

বিশ্ববাজারের প্রভাবে বিপিসির ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৩ অক্টোবর ২০১৮

আপডেট: ১৮:৪২, ৬ অক্টোবর ২০১৮

বিশ্ববাজারের প্রভাবে বিপিসির ক্ষতি

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি অর্থবছরে তেল আমদানিতে ছয় থেকে আট আজার কোটি টাকা লোকসানের ঝুঁকিতে পড়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিপিসির কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরে এপ্রিলে প্রতি বেরেল অপরিশোধিত তেল ৪৩ দশমিক ১৭ ডলার দিয়ে আমদানি করা হলেও আগস্টে সেই তেল ক্রয় করা হয়েছে ৮১ দশমিক ৫১ ডলারে। একইভাবে এপ্রিলে ডিজেল (পরিশোধিত তেল) প্রতি বেরেল ৫০ ডলার দিয়ে ক্রয় করা হলেও বর্তমানে লাগছে ৯১ দশমিক ৭০ ডলার করে। বিপিসির বিপণন বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববাজারে এই মূল্য বৃদ্ধির ফলে সরকারকে প্রতি লিটার ডিজেলে ৮ দশমিক ৯ টাকা এবং জ্বালানি তেলে (ফারনেস ওয়েল) ১২ দশমিক ৩৩ টাকা লোকসান গুণতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের ওপর বোঝার সৃষ্টি হবে। সরকারকে তেলে বেশি বরাদ্দ দিতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন সেক্টরে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বিপুল পরিমাণ পেট্রোলিয়াম জ্বালানি আমদানি করতে হয়।’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে দেশের ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২৫ শতাংশ পেট্রোলিয়াম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলতে থাকলে বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়াম উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলবে। এলএনজি মূল্যের ওপরও কিছু প্রভাব পড়তে পারে কারণ এর দাম পেট্রোলিয়াম মূল্যের সঙ্গে যুক্ত।’ দেশে বছরে ৫৫ লাখ টন পেট্রোলিয়াম জ্বালানি আমদানি করা হয় এবং সম্প্রতি এলএসজি আমদানিও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। ডিজেল ও ফার্নেস তেল বিক্রিতে বিপিসির ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা বজায় থাকলে, এ ক্ষতিও বাড়তেই থাকবে।’ বিশ্ব জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, প্রতি বেরেলে পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়