বাঙালির মানস কাঠামোতে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ এবং দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রজন্মান্তরে বয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারে নান্দনিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শরৎ উৎসব উদযাপন করলো রাজধানীবাসী। শনিবার ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের উদ্বোধক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আকাশে এখন ভেসে বেড়ায় সাদা কালো মেঘ, কখনও আবার আবছায়া। প্রকৃতির এমন খেলায় শরতের আনন্দোৎসব এসে জানিয়ে গেল, আমাদের সামনের দিনগুলো আলোকময়।
বাংলার ঋতু বৈচিত্র্য বাঙালির মনে অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্ম দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আবহমান বাংলার সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি শক্তিশালী অনুষঙ্গ শরৎ । মানস কাঠামোতে, জীবন আচারে বাঙালি অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আসে শরতের দুর্গোৎসব।
এসময় শরৎ উৎসবের তাৎপর্য নিয়ে আরো কথা বলেন শিল্পী নিগার চৌধুরী, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।
বক্তারা বলেন, শুধু আনন্দ-উৎসবে নয়, শরতসহ সব ঋতুবৈচিত্র্যের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগী হতে হবে সকলকে।
এর আগে শিল্পী নুরুল হকের সন্তুরে রাগ পরিবেশনায় শুরু হয় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শরৎ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মহাদেব ঘোষ, অনিমা রায়,সুমনা মজুমদার , সঞ্জয় কবিরাজ, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস। একক আবৃত্তি পর্বে নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী শোনান কাজী নজরুল ইসলামের ‘বাংলাদেশ নম নম নম’। অনুষ্ঠানে নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, নৃত্যজন, বাফা দলীয় নৃত্য পরিবেশনা করে।
এছাড়া ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’, ‘আজি শারদ প্রাতে’, ‘আজও আছে একতারা আর নকশি কাঁথার মাঠ’ প্রভৃতি সঙ্গীত গেয়ে শোনান সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী,ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী ও বহ্নিশিখা।
বিকালের পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র, গীত শতদল, সমন্বয়, পঞ্চভাস্বর, উজান। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে কণ্ঠশীলন, ঢাকা স্বরকল্পন ও কল্পরেখা।
সর্বশেষ
জনপ্রিয়