ছবি সংগৃহীত
দুপুরে বিআরটিএ সদর দপ্তরের সামনের রাস্তায় শুয়ে অবরোধ করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা
পাঁচ হাজার চালকের নামে অটোরিকশার মালিকানা দেওয়াসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার বনানীতে সড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশাচালকরা। এতে বনানী থেকে মহাখালীমুখী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ অয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন শত শত মানুষ। পরে দুপুর ২টার দিকে বিআরটিএর আশ্বাসে তারা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার বেশি সময় বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন অটোরিকশার চালকরা।
বনানী থেকে মহাখালীমুখী সড়ক এখন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল সরোয়ার। তিনি বলেন, “বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে। ২টার দিকে বিআরটিএর আশ্বাসে তারা সড়ক অবরোধ ছেড়ে দেন।”
অবরোধ চলার সময় বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন অটোরিকশাচালক ঐক্য পরিষদের নেতারা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বেলা ২টার দিকে ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক গোলাপ সিদ্দিকি সাংবাদিকদের বলেন, “বিআরটিএর চেয়ারম্যান আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এজন্য আমরা আগামী এক সপ্তাহ দেখব। এজন্য আজকের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলাম।”
বিআরটিএ’র নির্ধারিত ঢাকা মেট্রোর সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা অবিলম্বে কার্যকর করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদের চালকরা।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- ২০০৭ সালে ঢাকা মেট্রোর জন্য সরকার অনুমোদিত ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা অবিলম্বে চালকদের নামে রেজিস্ট্রেশন (ব্লু-বুক) প্রদান করতে হবে, ঢাকা শহরের আয়তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরও ১৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চালকদের নামে অনুমোদন দিতে হবে, সিএনজি অটোরিকশা চালক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে, আইএলও কনভেনশন ৮৭ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে, প্রশাসনের সব ধরনের চালক হয়রানি বন্ধ করতে হবে, পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত স্থান নির্ধারণ না করে নো পার্কিং মামলা বন্ধ করতে হবে, লেন/বাইলেন করে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল করতে দিতে হবে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং বিধিমালা ২০২৩ এর শ্রমিকস্বার্থ বিরোধী ধারা ও বিধি বাতিল করতে হবে।