দূর্গাপূজার স্থান নির্ধারণের আলোচনার একাংশ
রাজধানীর উত্তরায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নির্ধারিত হলো সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজার স্থান। সে হিসেবে ধর্মীয় সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য বজায় রেখে এ বছর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর খেলার মাঠের একাংশে দূর্গাপূজা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তরা দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের কর্মকর্তা মেজর খন্দকার জাহিদুল হক। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি উত্তরা শাখার নেতৃবৃন্দরা।
জানা যায়, গেল কয়েক বছর ধরে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর খেলার মাঠে টানা পূজার আয়োজন করায় অন্যত্র সরিয়ে নিতে এলাকাবাসী সম্প্রতি মানববন্ধন করে। বিষয়টি নজরে আসায় স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বী নেতা ও সেক্টর কল্যাণ সমিতির বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দিয়াবাড়ি সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় সকলের মতামতের ভিত্তিতে এ বছর দূর্গাপূজার সকল আয়োজন উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর খেলার মাঠের একাংশ নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকে সেক্টরবাসী ও সনাতন ধর্মালম্বীদের পক্ষে ফিরোজ জামান, সালাউদ্দিন, মাহমুদ নাছের, নিত্য গোপাল, কমল কান্তি, ফরিদ উদ্দিনসহ দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের উর্তন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি উত্তরা পশ্চিম শাখার সভাপতি নিত্য গোপাল জানায়, ১১ নম্বর সেক্টরে কয়েকবার পূজার আয়োজন হওয়ায় ওই এলাকার সেক্টরবাসীর পক্ষ থেকে অন্য সেক্টরে পূজার আয়োজনে দাবী ওঠায় আমাদেরকে এ বছর ১৩ নম্বর সেক্টরে আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী এ কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
কমিটির অপর সহ-সভাপতি সন্দীপ কুমার রুদ্র জানায়, লিখিত অনুমতি পেলে আগামীকাল থেকেই আমরা কাজ শুরু করব। পূজার আয়োজনে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করায় আমরা খুশি।
এ ব্যাপারে উত্তরা দিয়াবাড়ি ক্যাম্পের মেজর খন্দকার জাহিদুল হক বলেন, স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে দূর্গাপূজার আয়োজন করতে পারে সেজন্য আমরা এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে স্থান নির্ধারণ করেছি। আশা করি তারা সুষ্ঠুভাবে ধর্মীয় আয়োজন সম্পন্ন করতে পারবে।