থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বাংলা চলচ্চিত্রের গুনী নির্মাতা আমজাদ হোসেনের। পাঁচ দিন ধরে ওই হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। আছেন তার দুই ছেলে সোহেল আরমান ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।
নির্মাতা সোহেল আরমান জানিয়েছেন,আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে।এখানকার ডাক্তারদের দেয়া ট্রিটমেন্ট আর মেডিসিন খুব ভালো কাজ করছে বাবার উপর।বাবার কিডনি ক্রিটিনাইন লেভেল কমেছে,ইনফেকশন গুলো আর বাড়েনি, ব্লাড প্রেশার স্বাভাবিক হচ্ছে,হার্ট বিটের রেসপন্স ও ভালো।
তিনি বলেন,ভালো লাগলো যখন জানলাম বাবার যে প্লাটিলেটস ২০ হাজারে নেমে গিয়েছিল তা এখন ৫৫ হাজার এর একটু উপরে। বাকি থাকলো ব্রেন ড্যামেজ এর বিষয়টা। এটা নিয়ে ডাক্তাররা ৭ দিন পর বলতে পারবেন। আদৌ বাবা তার স্মৃতি শক্তি বা চোখ খুলে তাকাতে পারবেন কিনা। যদিও ডাক্তাররা মনে করছেন খুব মারাত্মক স্ট্রোক করাতে বাবার ব্রেন এ অনেক পরিমাণ ড্যামেজ হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। তারপর ও এখানকার ডাক্তাররা হাল ছাড়তে নারাজ। বাবার মাথায় অনেক উন্নত মানের মেডিসিন পাঠানো হচ্ছে। এইসব তথ্য দিয়ে বাবার ডাক্তার বেরিয়ে গেলেন। যাওয়ার সময় উনিও সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করলেন… আর আমাদের দুই ভাইকে বললেন, ‘লেটস হোপ অ্যান্ড প্রে। উই আর ডুইং আওয়ার লেভেল বেস্ট।’
আরমান যোগ করেন, এরপরই বাবা কে দেখতে দেয়া হলো। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর দেখলাম। বেশ পরিপাটি করে ভীষণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে আইসিইউ তে বাবাকে রাখা হয়েছে। অনেক ক্লান্ত হলে বাবা বাসায় যেভাবে ঘুমাতো, ঠিক তেমনি। চোখে পানি আসলেও শান্তি পেলাম, বাবা তার শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা পাচ্ছেন। আল্লাহ সত্যি মেহেরবান। এখনও বাবার মুখে উজ্জ্বল আলো। বেচে থাকার দ্যুতি ছড়াচ্ছে। আপনারা দোয়া করবেন তার জন্য।
গত ১৮ নভেম্বর সকালে আদাবরের বাসায় ব্রেন স্ট্রোক করেন আমজাদ হোসেন। হাসপাতালে ভর্তি হলে শুরু থেকেই তিনিআইসিইউ বিভাগের লাইফ সাপোর্টে ভর্তি ছিলেন। এরি মধ্যে তার উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ৪২ লাখ টাকা প্রদান করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয় আমজাদ হোসেনকে।
আলোআভানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/আরএ
সর্বশেষ
জনপ্রিয়