শৈত্যপ্রবাহ থাকছে আরও ৩ দিন

ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার বিকাল থেকেই হয় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে আবারও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এই দুই বিভাগের বেশির ভাগ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শনিবার আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। পাশাপাশি, দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
মাঝরাত থেকে রোববার সকাল এবং রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। যা চলবে কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচদিন।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে শীত লাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শীতের অনুভূতির সঙ্গে আরও কিছু বিষয় জড়িত। রংপুর বাদে আর সব বিভাগেই শুক্রবার বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ছিল শীতল বায়ুর প্রবাহ।
শুক্রবার সকালে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে বৃষ্টি হলেও সূর্যের মুখ দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায়। ফলে উষ্ণ হওয়ার সুযোগ পেয়েছে ধরণী। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ১০ মিলিমিটার।
আবার এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ হিসাবে শুধু রংপুর বিভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়াশার প্রকোপ। পরিস্থিতি এমন যে, ভোরে ও সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দিনে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও বেশি দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না।
দৃষ্টি সীমা কমে যাওয়ায় রেল চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। আজকে কুয়াশার প্রকোপ আরও বেড়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদর থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।