বিএনপির লক্ষ্য মুজিববর্ষের বিরোধিতা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা আসার বিরোধিতা করতে গিয়ে মুজিববর্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার দোসররা । নরেন্দ্র মোদী নয়, বিএনপির লক্ষ্য মুজিববর্ষের বিরোধিতা।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে প্রস্তুতি সভায় একথা বলেন তিনি ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন সামনে রেখে আমাদের দেশে আবার সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। আজ মির্জা ফখরুল ও তাদের দোসররা যে প্রপাগান্ডা করছেন, যে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন আসলে তাদের আমি বলবো তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগমন বিরোধিতা করতে গিয়ে মুজিববর্ষের বিষোদগার করছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদী বিশেষ কোনো ব্যক্তি নযন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাত্তরের আমাদের প্রধান মিত্র ভারতের জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে মুজিববর্ষে যোগ দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের প্রেক্ষাপট বিশাল। ১৯৭১ সালে আমাদের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, সেই যাত্রায় আমাদের মিত্র ও প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভারতের জনগণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে ভারতের সেনাবাহিনীর রক্ত। ভারতকে বাদ দিয়ে মুজিববর্ষ অর্থপূর্ণ হবে না।
‘মুজিববর্ষে নরেন্দ্র মোদী আসছেন, বিশ্বের অন্য দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নেতারাও আসবেন। বিএনপি নরেন্দ্র মোদীর আগমন কেন্দ্র করে কীসের অশুভ লক্ষণ দেখতে পাচ্ছে আমরা জানি না। মুজিববর্ষ সামনে রেখে বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে ঐতিহাসিক আয়োজন বিএনপি এবং তাদের দোসরদের সহ্য হচ্ছে না। এজন্য আজ তারা নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা আগমনের বিরোধিতায় অবতীর্ণ।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি হতে দেওয়া যাবে না। পরিমিতিবোধের মধ্য দিয়ে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান জানাতে হবে, শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরা যেন বাড়াবাড়ি করে বঙ্গবন্ধুকে ছোট না করি। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার আমাদের এ বিষয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র প্রমুখ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ।
আলোআভানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/আরএ