ফের গণবিক্ষোভে উত্তাল হংকং

চীনপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে আবারও ফুঁসে উঠেছে হংকং। চীনের কাছে হংকং হস্তান্তরের ২২তম বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকেই রাজপথে অবস্থান নেয় হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ।
একসময় সরকারি দফতরে ভাংচুর চালায় উত্তাল জনতা। দেশটির আইন পরিষদ ভবনেও তারা ধাতব বস্তু দিয়ে গ্লাস ও দরজা ভাঙার চেষ্টা করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভবনের ভেতর অনেক দাঙ্গা পুলিশ অবস্থান নেয়। থেমে থেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। আন্দোলনকারীরাও কিছুক্ষণ শান্ত থেকে আবারও সামনে এগোনোর চেষ্টা করে। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।
১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই অঞ্চলটি চিনের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। সেই দিবসের ২২ বছর পূর্তিতে সোমবার আন্দোলনে নামেন গণতন্ত্রকামী মানুষেরা।
হংকং চিনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে হংকং-এর। গত মাসেই চিনপন্থী বন্তি প্রত্যার্পণ বিল নিয়েও উত্তাল হয়ে উঠেছিলো হংকং। মূলত চিন ও তাইওয়ানে অপরাধী প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে হংকংজুড়ে এই গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনকারীদের মূল ক্ষোভ চিনের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে। বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ মনে করছেন না হংকংয়ের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, বিলটি পাস হলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চিনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে।
হংকং কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে এই দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিলো। অন্যদিকে শত শত তরুণ কালো পোশাকে মুখোশ পরে আন্দোলনে নামে। তাদের মাথায় ছিল কালো টুপি। তাদের দমনে হেলমেট ও ঢাল নিয়ে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় পুলিশ। বৃষ্টিও পড়ছিলো তখন। তারপরও আন্দোলনকারীরা দমে যাননি। ‘এই জনরিরোধী আইন বাতিল করো’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।