গরু চুরির মামলায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া সেই মা ও দুই মেয়েকে জামিন দিয়েছে আদালত, গ্রেপ্তারের আগে কোমরে দড়ি বেঁধে প্রকাশ্যে ঘোরানো হয়েছিল তাদের ।

সোমবার চকরিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাজিব কুমার দেব মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক।

জামিন পেয়েছেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট কুসুমপুর ইউনিয়নের ৫৫ বছর বয়সী এক নারী ও তার ২৮ ও ২৫ বছর বয়সী দুই মেয়ে।

আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, আদালতের শুনানি শেষে মা-মেয়েসহ তিনজনকে জামিন দিলেও দুই পুরুষ আসামির জামিন দেয়নি।তারা হলেন পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট কুসুমপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আরমান (৩০) ও কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ ছুট্টু (৩৮)।

গরু চুরির অভিযোগে গত শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ের দক্ষিণ পহরচাঁদা এলাকায় মা-মেয়েসহ এক পরিবারের চারজনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রকাশে ঘোরানো হয়।শনিবার ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর জানাজানি হয়।

গরু চুরির অভিযোগে পহরচাঁদার মাহমুদুল হক বাদী হয়ে এই মা-মেয়েসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া আদালতে মামলা করেছেন।

ওমর ফারুক জানান, মামলাটি চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাজিব কুমার দেব।

একই ঘটনায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

জেলা প্রশাসনের কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপ-সচিব) শ্রাবস্তী রায়কে প্রধান করা হয়েছে।

গত শুক্রবার হারবাং ইউনিয়নে মা-মেয়েকে কোমরে দড়ি বেঁধে ঘোরানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনে তৎপরতা শুরু হয়।

তবে মা-মেয়েকে প্রকশ্যে ঘুরিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ঢোকানো হলেও ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।

আলোআভানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/আরএ