পুরো দেশটাই একটা জেলখানার মতো।‘মানবাধিকারের কোনো বালাই নেই।  শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, সামাজিক সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, খাদ্য, পানি এবং শৌচ ব্যবস্থাপনাসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে দেশটির বেশির ভাগ জনগণই একেবারে পেছনের কাতারের পড়ে আছে।’ উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি এভাবেই তুলে ধরেছেন জাতিসংঘ।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ায় সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার  টমাস কুইনটানা  তার মূল্যায়ন তুলে ধরেন। তবে জাতিসংঘ  কর্মকর্তার এই মূল্যায়ন অস্বীকার করেছে পিয়ংইয়ং। বলেছে, ‘মানবাধিকারকে ইস্যু বানিয়ে এর ব্যবহার করতে চায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।’ খবর রয়টার্সের।

উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তদন্তের জন্য চলতি সপ্তাহে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন কুইটানা। কিন্তু এ ব্যাপারে পিয়ংইয়ং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি। বিফল হয়ে চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন তিনি। দক্ষিণের সীমান্ত থেকেই যতটুকু সম্ভব উত্তরের পরিস্থিতি মূল্যায়নের চেষ্টা করেন তিনি।

আগামী মার্চ মাসে এ সম্পর্কিত রিপোর্ট মানবাধিকার পরিষদে জমা দেবেন তিনি। তবে তার আগে এদিন সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে কুইনটানা বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ এবং দেশের অর্থনীতি সংস্কারে দেশটির নেতা কিম জং উনের বারবার প্রতিশ্র“তি সত্ত্বেও বিচ্ছিন্ন এ দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি একেবারের করুণ।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নানা পদক্ষেপের কথা বললেও সেগুলো আসলে সাধারণ মানুষের জীবনে বাস্তবায়িত হয়নি বললেই চলে।