জমে উঠেছে পুতুল নাচ

এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন যে তার ছোট কন্যাটির হাতে পুতুল তুলে দেন না। অন্তত শিশুর কান্না থামিয়ে মুখে হাসি ফোটানোর জন্য হলেও পুতুল হাতে দিয়ে সান্ত্বনা দেন অবুজ সন্তানটিকে । পুতুল মানুষের চিরকালীন সঙ্গী। ঐতিহ্যবাহী ধারার পুতুলনাট্যকে টিকিয়ে রাখা এবং একে সমৃদ্ধ করে এই শিল্প আঙ্গিকের অধিকতর প্রসারে নানা কর্মকাণ্ড করে চলেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল ও স্টুডিও থিয়েটার হলে চলছে ‘জাতীয় পুতুলনাট্য উৎসব ২০১৯’। ১৯-২৩ মার্চ পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবে প্রথমদিন থেকেই অংশ নিচ্ছেন নানা বয়স ও পেশার মানুষ।
এরই মধ্যে সর্বস্তরের সংস্কৃতিপ্রেমীদের সরব সমাগমে জমে উঠেছে ‘জাতীয় পুতুলনাট্য উৎসব’। এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে সারাদেশের ২৪টি দল। গত ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা, সম্মাননা প্রদান ও পুতুলনাট্য প্রদর্শনী। প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুতুলনাট্যে বিশেষ অবদানের জন্য একজন পুতুলনাট্যশিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, সুতা কিংবা কাঠির সাহায্যে নড়াচড়ার মাধ্যমে পুতুল নিয়ে সৃষ্ট শিক্ষা ও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ‘পুতুলনাচ’ বা ‘পুতুলনাট্য’। পুতুলনাচের এই সংস্কৃতি মানবসভ্যতার প্রায় শুরু থেকেই বিদ্যমান। যা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এটি আমাদের একটি সংস্কৃতিও বটে।
আলোআভানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/আরএ