গণধর্ষণের শিকার নারী পোশাক শ্রমিক

রাজধানীর সদরঘাট থানার উত্তর নালাপাড়ার একটি ঘরে আটকে রেখে পোশাক কারখানার এক নারী কর্মীকে ধর্ষণ করেছেন চার বখাটে যুবক। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই বখাটে যুবক গতকাল শনিবার বিকেলে মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে পোশাক কারখানা থেকে বেরিয়ে অন্য এক বান্ধবীকে নিয়ে কর্ণফুলী নদীর তীর–সংলগ্ন অভয় মিত্র ঘাটে বেড়াতে যান পোশাক কারখানার ওই তরুণী। সেখানেই তাঁদের অনুসরণ করছিলেন চার বখাটে যুবক। একপর্যায়ে দুই তরুণী অভয় মিত্র ঘাট থেকে পূর্ব মাদারবাড়ীর বাসায় ফিরছিলেন। তাঁদের পিছু নেন বখাটে যুবকেরা। বাসায় ফেরার সময় সন্ধ্যায় দুই তরুণীর পথ রোধ করে দাঁড়ান বখাটে যুবকেরা। এ সময় কৌশলে এক তরুণী পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পোশাক কারখানায় কর্মরত তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে উত্তর নালাপাড়া এলাকার একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পালাক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করেন চার যুবক।
এদিকে কৌশলে পালিয়ে আসা তরুণী বিষয়টি বাসায় গিয়ে জানান। এরপর এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে নালাপাড়ার দিকে এগিয়ে যায়। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ এলাকার লোকজনের শোরগোল শুনে চার যুবক পালিয়ে যান। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার আগে বখাটে যুবকেরা সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই বখাটে যুবকের নাম মো. হানিফ ও শাহ আলম ওরফে রাসেল। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় জড়িত শরীফ ও আরিফকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমীন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত পর্যন্ত গার্মেন্টসের এক মেয়েকে চার বখাটে যুবক ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে রাতের অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।